বর্তমান সময়ে ঘুমের সমস্যা নেই এমন মানুষের খোঁজ মেলা ভার। সবারই কম বেশি এই সমস্যা দেখা যায়। রাতের বেলা এপাশ ওপাশ করে কেটে যায় গোটা রাত যার ফলে গোটা দিন থাকে ক্লান্তি। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কি? বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুম না আসার যেরকম বিশেষ কিছু কারন রয়েছে তেমন এই সমস্যা থেকে বের হওয়ারও রয়েছে বেশ কিছু উপায়। আজ সেরকম ১০ টি উপায় নিয়েই আলোচনা করবো।
(ক) রাতে অতিরিক্ত ভারী খাবার খাবেন না, চেষ্টা করবেন যতোটা সম্ভব হালকা খাবার খাবার। অতিরিক্ত ভারী খাবার খেলে তা আমাদের ঘুমের সমস্যার সৃষ্টি করে।
(খ) ঘুমোনোর জন্য একটি সঠিক সময় ঠিক করুন। যখন তখন শুয়ে পরবেন না। এতে আপনার পরবর্তী ঘুমের সময়ে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং শরীরে জন্ম দেয় বিভিন্ন ধরনের রোগ। তাই ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে সেই টাইমে প্রতিদিন ঘুমোতে যান।
(গ) ঘুমোতে যাবার আগে এমন কোনো খাবার খাবেন না যা আপনার শরীরে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করে। যেমন এর্নাজি ড্রিঙ্ক। এই সমস্ত খাবার আমাদের শরীরকে আরও সচল করে তোলে যার ফলে সহজে আমাদের ঘুম আসে না।
(ঘ) ঘুমোতে যাবার সময় খেলায় রাখুন চারিদিক যেন শান্ত থাকে। অতিরিক্ত শব্দ আমাদের ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। তাই পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করুন এতে আপনার ঘুম ভালো হবে।
(ঙ) ঘুমোনোর আগে আপনার যদি স্নান করবার অভ্যাস থাকে তবে এটি বর্জন করুন। কারন বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বিভিন্ন থাকে। আপনি যদি ঘুমোতে যাবার আগে স্নান করেন তবে তা আমাদের শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন করে যা আমাদের ঘুমের জন্য অনুপযুক্ত।
(চ) গোটাদিন চেষ্টা করুন কিছু ভারী কাজ করবার, এতে আমাদের শরীরের পেশি ক্লান্ত হয় আর শরীর ক্লান্ত থাকলে ঘুম ভালো হয়। ঘুমোনোর আগে ব্যায়াম ও করতে পারেন যা আপনার ঘুমের জন্য উপকারী হিসেবে প্রমানিত হতে পারে।
(ছ) ঘরের আলো নিভিয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। আর যদি আপনার আলোতে ঘুমিয়ে অভ্যাস থাকে তবে হালকা হলুদ রঙের আলো রাতে ব্যাবহার করুন এটি আপনার তাড়াতাড়ি ঘুম আনতে সাহায্য করবে।
(জ) ঘুমোনোর আগে ফোন বা টিভি ব্যবহার করবেন না। ফোন বা টিভি থেকে আসা আলো আমাদের মাথাকে সজাগ রাখে যার ফলে ফোন বা টিভি ব্যবহার করলে আমাদের সহজে ঘুম আসে না।
(ঝ) বিছানা সঠিক ভাবে পাতুন। কখনো কখনো বিছানা সঠিক বা আরামদায়ক না হওয়ায় আমাদের ঘুমে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
(ঞ) মন শান্ত রাখুন। ঘুমোতে যাবার সময় বেশি ভাববেন না। বেশি ভাবলে আপনার মাথার ওপর প্রভাব পরবে এবং আপনার ঘুম নষ্ট হবে। মন শান্ত রাখুন। পরের দিন আবার নতুন করে শুরু হবে সব এই ভেবে শান্তিতে ঘুম দিন।
• এরকম আরও তথ্য সবার আগে পেতে ডানদিকের নীচে থাকা টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন।