এই ভুলগুলো করা থেকে বিরত থাকুন; তাছাড়া বাড়িতে নোটিশ আসতে পারে আয়কর দফতরের
আজ আমরা কথা বলবো এমন কিছু ভুল নিয়ে, যেই ভুলগুলি করলে মাসুল দিতে হতে পারে বড়সড়। বাড়িতে নোটিশ পাঠাতে পারে আয়কর দফতর। এমনিতেই এখন ডিজিটাল জামানা। নগদ লেনদেনকারীদের উপর কড়া নজর রয়েছে আয়কর দফতরের। তাই খুব সাবধানে থাকতে হবে যাতে এই ভুলগুলি কোনোমতেই না হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি ভুল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(১) বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল লেনদেনের ওপর অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষজন। এছাড়াও ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে সরকারও বেশিরভাগ আর্থিক আদান-প্রদান ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। যাতে করে আর্থিক লেনদেনগুলি ট্র্যাক করা যায়। এরফলে লেনদেন করা সহজ ও দ্রুতও হয়ে পড়েছে । কিন্তু তারপরও কিছু ব্যক্তি নগদে আর্থিক লেনদেন করে। এই নগদ লেনদেনকারীদের উপর বিশেষ নজর রয়েছে আয়কর দফতরের। অতিরিক্ত নগদ লেনদেন অর্থাৎ একটা সীমার ওপর নগদ লেনদেন করলে বাড়িতে নোটিশ পাঠাতে পারে আয়কর দফতর।
(২) কোনো ব্যক্তি যদি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ব্রোকারেজ হাউজের সাথে কিংবা সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন এর জন্য নগদে আর্থিক লেনদেন করে থাকেন তবে তাকে সেই বিষয়টি আয়কর দফতরকে জানাতে হবে। তাছাড়া বাড়িতে নোটিশ আসতে পারে আয়কর বিভাগ থেকে।
(৩) কেউ যদি নগদে ৩০ লক্ষ বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি কেনাবেচা করেন, তাহলে সেই সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন এর তথ্য আয়কর বিভাগকে পাঠাতে হবে। আয়কর বিভাগ এই নগদ চুক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারে কিংবা অর্থের উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাইতে পারে।
(৪) ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটানোর জন্য যদি একবারে ১ লক্ষ টাকার বেশি নগদে জমা করা হয় তাহলে আয়কর বিভাগ থেকে নোটিশ পাঠাতে পারে। এছাড়াও একটি আর্থিক বছরে ক্রেডিট কার্ড বিল বাবদ ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদে পরিশোধ করলেও আয়কর দফতর থেকে সেই অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে।
(৫) শেয়ার , মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার এবং বন্ডে প্রচুর পরিমাণ নগদ লেনদেন করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। কারণ একটি আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদে বিনিয়োগ করলে আয়কর বিভাগের নোটিশ আসতে পারে।
(৬) ফিক্সড ডিপোজিটে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করলে আয়কর বিভাগ থেকে এই অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে।
(৭) ব্যাংক বা কো-অপারেটিভ ব্যাংকে বছরে ১০ লক্ষ কিংবা তার বেশি নগদ জমা করলেও আয়কর বিভাগের নোটিশ আসতে পারে।
তাই সতর্ক থাকুন। আয়কর দফতরের নোটিশ যাতে না আসে তাই এই ভুলগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
পোষ্টটি ভালোলাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরও তথ্য পেতে আজই যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।