Adenovirus – ফের কি লকডাউন? বাড়ছে আতঙ্ক, বন্ধ হতে পারে প্রাথমিক স্কুল, মুখ্যমন্ত্রীর জরুরী বৈঠক।
Adenovirus – পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের প্রধানদের তলব অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রান্ত মিটিংয়ে, জানুন বিস্তারির।
গত দুমাসে প্রায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত হয়ে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার চিন্তায় পড়েছে এটিকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করবে নাকি তা নিয়ে! ইতিমধ্যেই সরকারি হসপিটাল গুলিতে চাইল্ড কেয়ারের এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে বেড নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে।
এই ভাইরাসে যেহেতু দুই থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই প্রি স্কুলগুলি চালু থাকবে কী না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যদিও এ ব্যাপারে বারবার আশ্বস্ত করছেন এবং তিনি বলছেন উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে রাজ্যের।
রেশন তোলার নিয়ম বদল। আর নয় আঙুলের ছাপ, চালু হল নতুন নিয়ম।
কিন্তু ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে বাচ্চাদের উপস্থিতির হার কমেছে চোখে পড়ার মতো (Adenovirus)। সর্দি জ্বর নিয়ে কোনো অভিভাবকই স্কুলে পাঠাতে চাইবেনা। কোনো স্কুল কতৃপক্ষই তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করারপক্ষপাতি করছে না। কোভিডের দীর্ঘ ঝড় সামলে বাচ্চা গুলো স্কুলে আসতে শুরু করেছিল, তাদের অনুপস্থিতি শিক্ষক মহলকেও ভারাক্রান্ত করছে।
পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বিভিন্ন স্কুলের সাথে প্রাইমারি সেকশনটি যুক্ত তাই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন বাচ্চার আসে, মাস্ক পড়িয়ে আনা হোক এবং অভিভাবকরা যদি বোঝে বাচ্চা ফিট তবেই যেন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠায়।
নিউটাউন এর স্কুলের এক অধ্যক্ষ নবনীতা বসু জানান বাচ্চাদের তো সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা যায়না, তাই কোনো বাচ্চা যদি অসুস্থ থাকে তাকে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুলে আসতে হবে। সাধারণভাবে এই জ্বর ২-৫ দিন স্থায়ী হয় তবে সিরিয়াস অবস্থায় চলে গেলে এক সপ্তাহের বেশিও থাকতে পারে।
ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্স ফর প্রী স্কুল এডুকেশনের সভাপতি তমাল মুখোপাধ্যায় বলছেন শিশুর স্বাস্থ্য প্রথম অগ্রাধিকার পাবে (Adenovirus)। এই সময় এমনি তাদের শিক্ষাবর্ষ নতুন করে শুরু হওয়ার তাই ছুটিও আছে তাই বাড়িতেই থাকুক শরীরের অবস্থা বুঝে। কসবার এক প্রি স্কুলের অধ্যক্ষ বলছেন পরিস্থিতি যদি আরো জটিল হয় সেক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসের পথে হাঁটবে তারা।
এত কম বয়স্ক বাচ্চাদের তো আর সবসময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিয়ে (Adenivorus) রাখা সম্ভব নয় তাই বাচ্চা সুস্থ থাকলে তবেই স্কুলে আসুক। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন প্রায় ৬০০ জন ডাক্তার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় যুক্ত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর জরুরী বৈঠক, স্কুলে সতর্কতা, প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে, অনলাইনে ক্লাসের ভাবনা।