Iswar Chandra Vidyasagar Scholarship: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপে আবেদন করুন এবং পেয়ে যান বার্ষিক ৬০০০ টাকা
আপনি কি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থী? কিংবা আপনার সন্তান কি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যেকোনো শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে? তবে এই খবরটি আপনার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে দারুণ এক সুখবর। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। বিগত দু’বছর ধরে করোনার একের পর এক ঢেউয়ের জেরে সমগ্র ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গজুড়ে লকডাউন ছিল। ফলত অর্থনৈতিক মন্দা এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থার কারণে এই দুই বছরে স্কুলছুট শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। আর শিক্ষার্থীদের স্কুল ছেড়ে দেওয়ার প্রধান কারণ হলো তাদের পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা। এই সমস্ত পরিস্থিতি কে মাথায় রেখে পড়ুয়ারা যাতে নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে এবং উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে তার জন্য যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে তেমনভাবেই বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থার তরফেও স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে।
এই প্রাইভেট স্কলারশিপগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ (Iswar Chandra Vidyasagar Scholarship)। আর এই স্কলারশিপটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো অন্য যেকোনো সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি আপনি এই স্কলারশিপটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আজ আমরা এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি কিভাবে আপনারা স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন, আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি কি কি, আবেদনে ক্ষেত্রে আবশ্যিক যোগ্যতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপনার ক্ষেত্রেও যদি আপনার আর্থিক অবস্থা আপনার উচ্চশিক্ষা লাভের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তবে আপনিও আবেদন করতে পারেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ (Iswar Chandra Vidyasagar Scholarship) এর জন্য।
এবছর বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৭০ লক্ষ রেশন কার্ড, আপনার নাম নেই তো?
• চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক, কারা এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে যোগ্য:-
১. আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পারিবারিক বাৎসরিক আয় অবশ্যই ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
৩. আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যেকোনো শ্রেণীতে পাঠরত হতে হবে।
• এই স্কলারশিপের আওতায় কতো টাকা অনুদান পাবেন শিক্ষার্থীরা:-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপের অধীনে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ অর্থের অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে, যথা:-
১. অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ১২০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।
২. নবম শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের বছরে ২৪০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।
৩. দশম শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের বছরে ৩৬০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।
৪. একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ৪৮০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।
৫. দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের বছরে ৬০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
• আবেদন পদ্ধতি:-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই অফলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই শিক্ষার্থীদের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে।
২. এরপর ফর্মটি প্রিন্ট করে আপনার নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, বিগত পরীক্ষার নম্বর, পরিবারের বাৎসরিক আয় সহ সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৩. সবশেষে ফর্মটির সাথে প্রয়োজনীয় নথিগুলি যুক্ত করে নথিসহ ফর্মটি স্পিড পোস্টের মাধ্যমে সঠিক ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
নিজের আধার সেবা কেন্দ্র কীভাবে খুলবেন জেনে নিন, প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন ভালো পরিমাণ টাকা
• ফর্ম পাঠানোর ঠিকানা:-
PASCHIM MEDINIPUR FUTURE CARE SOCIETY, ALIGUNJ, KELLAPUKUR, P.O- Midnapore, Paschim Medinipur , Pin- 721101
• আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিসমূহ:-
১. বিগত পরীক্ষার মার্কশিট।
২. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
৩. শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের আধার কার্ড।
৪. পরিবারের বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৫. শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসবইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স।
• আবেদনের তারিখ:-
এই স্কলারশিপের আবেদন সাধারনত জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে থাকে।
• আবেদনপত্র ডাউনলোড করুন:- Link
এইরকম আরও স্কলারশিপ সংক্রান্ত নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের আইকনে ক্লিক করে আজই যুক্ত হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।