চিকিৎসা

মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন? জানুন এর কারণ এবং প্রতিকার । Causes and solutions of Migraine

আমরা মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে এর আগে একটি পোস্ট করেছিলাম। সেই পোস্টের লিঙ্কটি এই পোস্টের নীচে দেওয়া থাকবে। আপনারা না পড়লে পড়ে নেবেন।

আজ আমরা কথা বলবো এক বিশেষ ধরণের মাথা ব্যথা নিয়ে। যার নাম মাইগ্রেন। এই ধরনের মাথা ব্যাথা আজকাল খুবই কমন হয়ে পড়েছে। প্রতি ৫ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন পুরুষের এবং ১৫ জন মহিলার মধ্যে ১ জন মহিলার মধ্যে এই ধরনের মাথা ব্যাথা বা মাইগ্রেন দেখা যায়।

• মাইগ্রেন আসলে কি?
মাইগ্রেন আসলে মস্তিষ্কের ভেতরের রক্তনালীর স্ফীত হয়ে যাওয়ার ফলে বা সংকোচন প্রসারণের ফলে হয়ে থাকে। এই ধরনের মাথা ব্যাথা সাধারণত মাথার যেকোনো এক সাইডে মাঝারি থেকে তীব্র মানের হয়ে থাকে। মনে হয় যেন মাথার ভেতরটা কম্পিত হচ্ছে অর্থাৎ চিলকাচ্ছে বা ঝিলিক পারছে। এই মাথা ব্যাথার সাথে সাধারনত বমিভাব দেখা যায় এবং বমি হওয়ার পর এই ব্যথা অনেকসময় কমেও যায়। এই মাথাব্যথা আলো বা শব্দে খুবই সংবেদনশীল হয় অর্থাৎ অতিরিক্ত শব্দ বা রোদ অসহ্যকর হয়ে ওঠে এবং দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটে।

• কি কি কারণে মাইগ্রেনের মাথাব্যথা হয়?
মাইগ্রেন কিছু কিছু কারণে বাড়তে পারে, যেমন~
(১) অতিরিক্ত রোদে বেশিক্ষণ থাকলে এই ধরনের মাথা ব্যাথা হতে পারে।
(২) বেশিক্ষণ খিদে চেপে রাখলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
(৩) চকোলেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়।
(৪) খুব বেশি সময় ধরে মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটারের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে এই ব্যথা হয়।
(৫) অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা, উত্তেজনার ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
(৬) শরীরে হরমোনের পরিবর্তন থেকে মাইগ্রেন হয়।

• মাইগ্রেনের চিকিৎসা ও প্রতিকার :-
মাইগ্রেন সাধারণত কম বয়স থেকে অ্যাডাল্ট হওয়ার সময় পর্যন্ত বেশি হয়। তারপর বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাইগ্রেনের প্রকোপ কমতে শুরু করে। তবে কিছুক্ষেত্রে মাইগ্রেনের চিকিৎসা প্রয়োজন। অন্য যেকোনো ডাক্তার বা ফিজিশিয়ান এর থেকে নিউরোলজিস্ট কে দেখানো বেশি কার্যকরী এই ব্যথার ক্ষেত্রে।

• আরও পড়ুন:- মাথা ব্যাথার কারণ ও তার ঘরোয়া প্রতিকার

এরকম আর‌ও তথ্য সবার আগে পেতে ডানদিকের নীচে থাকা টেলিগ্রামআইকনে ক্লিক করে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button