ডিএ নিয়ে সরাকারি কর্মচারীদের বিরাট পদক্ষেপ, কোনঠাঁসা নাবান্ন।
ডিএ পাওয়ার লক্ষে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ালো সরাকারি কর্মচারীরা।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারিরা মহার্ঘভাতার অর্থাৎ ডিএ-র দাবি নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল রাজ্য সরকারকে। ঠিক কিছুদিন আগে ১০ই মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের নিশেধাজ্ঞা কে পাত্তা না দিয়ে অনেকক্ষেত্রে সেই ধর্মঘট সফলও হয়েছিল। রাজ্যের তরফে ঘোষণা করেছিল কেউ যদি ঐ দিন অফিসে না আসে তাকে সার্ভিস ব্রেক দেওয়া হবে।
কিন্তু তাও রাজ্যের একাধিক অফিস,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো কম। সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর বসু বলেন একাংশ কর্মীদের দাবি রাজ্যের কাছে দাবি পেতে হলে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরো বাড়াতে হবে। দীর্ঘ ১৪ দিন ধর্মঘটের পথে যেতে চাইছে।
মিলবে না বকেয়া DA-র এক কানা কড়ি, সরকারি কর্মীদের জন্য চরম খারাপ খবর দিল সরকার।
রাজ্যের সরকারের কর্মচারীরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী এই বছরের মার্চে তিন শতাংশ DA বৃদ্ধি করে ডিএ পায় এখন ছয় শতাংশ । আর সেখানে একজন কেন্দ্রের কর্মচারী ডিএ পায় ৩৮ শতাংশ। কিন্তু খুব শীঘ্রই তাদের DA বেড়ে ৪২ শতাংশ হতে চলেছে। এই শনিবার থেকে তারা ডিজিটাল ধর্মঘট করবে বলে জানিয়েছে। তারা অফিসের সময়ের বাইরে আর কোনো কাজ করবেনা।
গত বছরে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে। তবে মামলার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রিভিউ পিটিশন করে। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যাওয়ায় কেস সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ায়। ২১ শে মার্চ সুপ্রিম কোর্ট রায় দেবে এই মামলায়, এর আগে ভুল নথির জন্য রাজ্য সরকারের শুনানি পিছিয়ে গেছে। প্রায় দেড় মাস আগে থেকেই শহীদ মিনারের পাদদেশে তারা অনশন পর্বও চালিয়েছে।
কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে এখনো টানা ১৪ দিন ধর্মঘটের কথা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা হয়নি কোন পথে ভবিষ্যতে আন্দোলন যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারা তাদের দাবি থেকে একবিন্দুও সড়ছেনা তাদের বকেয়া দাবি মেটাতে হবে এবং কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে হবে।