ডিপ্রেশন কি? ডিপ্রেশনের কারণ কি? ডিপ্রেশনের লক্ষণ গুলি কি কি?
বর্তমানে মানবসমাজে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার পাশাপশি নানান মানসিক সমস্যাও দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ডিপ্রেশন। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জনই এই মানসিক সমস্যার স্বীকার। এই ডিপ্রেশন কিন্তু একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে একে দূর করাও সম্ভব।
• সবার প্রথমে বলে রাখি, এখানে দেওয়া সমস্ত তথ্য বিভিন্ন ডাক্তারের আর্টিক্যাল পড়ে ও তাদের বক্তব্য শুনে লেখা। |
• ডিপ্রেশন কি?
= ডিপ্রেশন হলো একপ্রকারের দীর্ঘস্থায়ী বিষাদ, যা বহুদিন কিংবা বহুমাস ধরে কারো মধ্যে দেখা গেলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কখনও কখনও কাউন্সিলিং-এর পাশাপাশি ওষুধেরও প্রয়োজন হয়। তবে এই সমস্ত ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ।
• ডিপ্রেশনের কারণ-
ডিপ্রেশনের কারণ যদিও মানুষ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়, তবুও যে কারণগুলি সাধারণত মুখ্য ভূমিকা পালন করে সেগুলি হলো-
(১) জেনেটিক কারণ- অন্যান্য অনেক রোগের মতো ডিপ্রেশনও অনেক সময় বংশগত বা জেনেটিক্স কারণে হয়। এছাড়াও ডিপ্রেশনের রোগীদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ধরণের DNA লক্ষ্য করা যায়।
(২) ধুমপায়ীদের মধ্যে ডিপ্রেশনের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
(৩) বায়োকেমিক্যাল কারণ- আমাদের ব্রেইনের মধ্যে নানান জৈব রাসায়নিক বস্তু থাকে। কোনো কারণে যদি সেই জৈব রাসায়নিক বস্তুগুলির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় তবে ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে।
(৪) মা- বাবা বা কাছের মানুষ হারানোর ফলেও ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে।
(৫) কর্মস্থলে সমস্যার কারণে হতে পারে।
(৬) বেশি সেনসিটিভ মানুষ বা যারা অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে নিয়ে বেশি চিন্তা করে তাদের মধ্যে ডিপ্রেশন দেখা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
(৭) ব্যাক্তিগত জীবনে অসুখী হলে ডিপ্রেশন আসতে পারে।
• ডিপ্রেশনের সময়ে আমাদের মধ্যে নানারকম হরমোনের ভারসাম্য হারিয়ে যায়। এই সময়ে ডোপামিন হরমোন ( ফীল গুড হরমোন বা মোটিভেশনাল হরমোন) এবং সেরেটোনিন হরমোন (হ্যাপিনেস হরমোন) এর ক্ষরণ কমে গিয়ে কর্টিসেল হরমোন ( স্ট্রেস হরমোন) এর আধিক্য দেখা যায়। |
বুকে ব্যথা কেন হয়। এর কারণ ও শ্রেণিবিন্যাস
• ডিপ্রেশনের লক্ষণ-
(১) আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা।
(২) অনুভূতি প্রকাশ না করে নিজের মধ্যে চেপে রাখা।
(৩) অল্পতেই রেগে যাওয়া।
(৪) চিন্তা ভাবনায় অস্পষ্টতা।
(৫) কোনরকম সিদ্ধান্ত নিতে কনফিউশন সৃষ্টি হওয়া।
(৬) হীনমন্যতা বা নিজেকে মূল্যহীন ভাবা।
(৭) নিজেকে শেষ করে দেওয়ার প্রবণতা।
এই সমস্ত লক্ষণগুলি যদি দেখা যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ এবং তার সাথে কাউন্সিলিং করিয়ে নেওয়া উচিৎ। |
সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির খবর সহ সমস্ত স্কলারশিপ ও সরকারি প্রকল্পের খবর সবার আগে পেতে আজই প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের WB Job News অ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লিঙ্ক ঃ- whatsapp