জানা অজানা

ঝড়ের নামকরণ কিভাবে হয় আপনি জানেন

বঙ্গোপসাগর তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় “যশ”। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী আগামী ২৪ কিংবা ২৫ তারিখ দুই বাংলায় ওপর আছড়ে পড়বে এই ঝড়। আরও জানা যাচ্ছে দুই বাংলা সহ ওড়িষাও এই ঝড়ের প্রকোপে আসতে পারে। এই ঝড় আগের ঝড় অর্থাৎ আমফানের থেকেও বেশি শক্তিশালী হবে বলেই সূত্রে খবর। 

Do%2Byou%2Bknow%2Bhow%2Bto%2Bdo%2Bnaming%2Bof%2Bthe%2BStroms

এবার আসি নামকরণে, আপনাদের অনেক সময় মনে হতে পারে, যে ঘূর্ণিঝড়ের নাম গুলো এরকম কেন হয়? এবং এই নামকরণ করে কে? আজ সেটা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা।

ঘূর্নিঝড়ের নামকরণ করা হয় ঝড় গুলোকে আলাদা করবার জন্য। স্বাভাবিক ভাবে বঙ্গোপসাগরে বছরে প্রায় ১০০ টির মতো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় তার মধ্যে বেশিরভাগই সাগরে মিলিয়ে যায়। দু-চারটি উপকূলে আছড়ে পরে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বৈঠকে মোট আটটি দেশ নিজেদের মতো নাম জমা করে। এই আটটি দেশ হলো, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, ওমান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এই দেশগুলি নিজেদের পছন্দ মতো নাম জমা করে, এবং অ্যালফাবেট অনুযায়ী প্রতিটি দেশের দেওয়া নাম অনুযায়ী পরবর্তী ঝড়ের নাম হয়। যেমন প্রথম ঝড়ের নাম দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ‘B’ এই আটটি দেশের মধ্যে আগে আসে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, প্রতিটি দেশের কাছ থেকে আটটি করে নাম নেওয়া হয়। এবং ৬৪ টি নাম জমা রাখা  হয়।

২০০৪ থেকে এই নামকরণ শুরু করা শুরু হয়। প্রথম ঝড়ের নাম দেওয়া হয় “অনিল” যে নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। যে ঝড় ভয়ানক রূপ ধারণ করে আছড়ে পড়েছিল ভারতের গুজরাট রাজ্যে। গত ঝড়ের নামকরন করেছিলেন থাইল্যান্ড, যে ঝড়ের নাম ছিল “আমফান”। ঠিক সেভাবেই বর্তমান ঝড়ের নাম “যশ” যার নামকরন করে ওমান। মোদ্দাকথা যতদিন না ৬৪ টি নাম শেষ না হচ্ছে ততদিন আর নতুন করে ঝড়ের নামকরন হয় না।

এরকম আরো মজাদার তথ্য পেতে আজই যুক্ত হন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে- WhatsApp

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button