এবার থেকে বাড়িতে বসেই হাতে পেয়ে যাবেন Ration Card, কিভাবে জেনে নিন।
ডিজিটালাইজেশনের জন্য এখন বাড়িতে বসেই সমস্ত রকম কাজ করা সম্ভব। কিন্তু সবক্ষেত্রে তা করা সম্ভব হয় না। তবে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় সুবিধা পৌঁছে দিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার বরাবরই তৎপর। আর এবারে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের অধীনস্থ খাদ্য দপ্তরের তৎপরতায় পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের নতুন রেশন কার্ডের জন্য দুয়ারে সরকারের লম্বা লাইন পেরিয়ে ফর্ম জমা দেওয়ার ঝামেলা হোক কিংবা খাদ্যদপ্তরে গিয়ে ফর্ম জমা দেওয়ার ঝক্কি কোনোটাই পোহাতে হবে না। তবে আপনি কি জানেন ঠিক কিভাবে আপনি বাড়িতে বসেই রেশন কার্ড হাতে পাবেন? যদি না জেনে থাকেন তবে এই খবরটি আপনার জন্য (Ration Card) ।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনারা বাড়িতে বসেই নতুন রেশন কার্ড পেতে পারবেন:-
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই ই-গভর্ন্যান্সের উপর জোর দিয়েছেন। করোনার সময়কালে সমস্ত ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন হলেও এখনও পর্যন্ত অনেক কাজের জন্যই রাজ্যের নাগরিকদের লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর নাগরিকদের এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই বরংবার উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। আর তাই এবারে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে পশ্চিমবঙ্গের রেশন ব্যবস্থাতেও। পশ্চিমবঙ্গের নতুন রেশন কার্ডের আবেদন সংক্রান্ত আরও বিভিন্ন সুবিধা হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে। আর এই অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যের নাগরিকরা বাড়িতে বসেই নিজেদের নতুন রেশন কার্ড হাতে পেয়ে যেতে পারবেন। এই অ্যাপটি “খাদ্যসাথী – আমার রেশন মোবাইল অ্যাপ” নামে পরিচিত।
এই অ্যাপের মাধ্যমে আর কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, “খাদ্যসাথী – আমার রেশন মোবাইল অ্যাপ” (Khadya Sathi Aamar Ration) -এর মাধ্যমে নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদনের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করা সম্ভব।
১. মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড বাতিল করা।
২. রেশন কার্ডের ভুল সংশোধন।
৩. রেশন কার্ড সারেন্ডার।
৪. রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি চেঞ্জ করার জন্য আবেদন।
৫. রেশন কার্ড শিফটের জন্য আবেদন।
৬. রেশন কার্ডের স্ট্যাটাস চেক।
৭. রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের লিংক।
ফের বদল ঘটলো প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতার, জেনে নিন কারা দিতে পারবে টেট পরীক্ষা
তবে শুধু এই সমস্ত কাজই নয়, এই অ্যাপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আওতায় যে পাঁচটি ক্যাটাগরির রেশন কার্ড রয়েছে তার অধীনে থাকা নাগরিকরা কোন মাসে রেশনে কি পরিমাণ চাল, গম, আটা ইত্যাদি তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও দেখতে পারবেন। এর পাশাপাশি একজন ব্যক্তি তার বাড়ির নিকটবর্তী FPS এবং কেরোসিন শপের সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন।
এর পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমে একটি বিশেষ সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্যের সমস্ত কৃষকরা। এই অ্যাপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকরা দেখতে পারবেন কোন জেলায়, কবে Paddy procurement centre হবে, যার মাধ্যমে তারা সঠিক সময়ে ধান বিক্রি করতে পারবেন। এমনকী এই অ্যাপের মারফত খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে নিজের নাম নথিভুক্ত করার পর কৃষকরা যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পান তার মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত কৃষকরা ধান বিক্রির নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময়ও বেছে নিতে পারবেন। এছাড়াও সমস্ত রাজ্যের কৃষকরা তাদের ধান বিক্রির টাকা কবে পেতে চলেছেন তাও দেখতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে।
কিভাবে এই অ্যাপ আপনারা পাবেন?
এই অ্যাপটি আপনারা যেকোন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল প্লে স্টোর (https://play.google.com/store/apps/details?id=com.fns.khadyasathi_aamarration) থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
Written by Kanka Banik.