টেক নিউজ

গাড়ির ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে | পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিন-এর মধ্যে পার্থক্য কি | প্রতিটি ইঞ্জিনে মোবিল কেন দিতে হয় | ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা CC কি

ফিনিক্স বাংলায় সকলকে স্বাগত। আজ আমরা আলোচনা করবো একটি মজাদার টপিক নিয়ে। গাড়ির ইঞ্জিন বা internal-combustion-engine সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। এটি আসলে কি? এবং কিভাবে কাজ করে? পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিন-এর মধ্যে পার্থক্য কি? প্রতিটি ইঞ্জিনে মোবিল কেন দিতে হয়? ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা CC কি  তো চলুন জেনে নেওয়া যাক?

 

গাড়ির internal-combustion-engine-এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো সিলিন্ডার এবং পিস্টন। সিলিন্ডার মানে হলো একটি লম্বা ফাঁপা জায়গা এবং পিস্টন ওই লম্বা ফাঁপা জায়গার মধ্যে ওঠা-নামা করে। গাড়ির ইঞ্জিনের মধ্যে একাধিক সিলিন্ডার বা পিস্টন থাকে। সিলিন্ডারের মধ্যে যখনই আগুন লাগে তখনই পিস্টনটি সিলিন্ডারের ভেতর ওপর- নীচ করতে থাকে এবং তার সাথে চাকাটিকে ঘোরায়। সিলিন্ডারের মধ্যে একবার ওপর- নীচ হওয়াটা একটা স্ট্রোক। যে ইঞ্জিনের মধ্যে এই সমগ্র প্রসেসটি সম্পূর্ণ করতে ৪ টি স্ট্রোক করতে হয়, সেই ইঞ্জিংগুলিকে 4 stroke engine বলা হয়। যে ইঞ্জিনের মধ্যে এই সমগ্র প্রসেসটি সম্পূর্ণ করতে ২ টি স্ট্রোক করতে হয়, সেই ইঞ্জিংগুলিকে 2 stroke engine বলা হয়। 

 

ভোডাফোনের নেট সমস্যা সমাধান করুন দু-মিনিটে

 

• যে ইঞ্জিনের মধ্যে এই সমগ্র প্রসেসটি সম্পূর্ণ করতে যে ৪ টি স্ট্রোক করতে হয় সেগুলি কি কি?

প্রথমেই যখন ইঞ্জিন শুরু হয় তখন fuel ইঞ্জিনের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পিস্টনটি নীচে নামে। এটি হলো প্রথম স্ট্রোক বা intake stroke। পিস্টনটি নীচে নামার পর এটির মধ্যে থাকা এক্সট্রা শক্তির জন্য এটি আবার ওপরের দিকে ওঠে, এবং সিলিন্ডারের মধ্যে প্রবেশ করা fuel কে সংকুচিত করে। এটি হলো compression stroke বা 2nd স্ট্রোক। এরপর এই সংকুচিত fuel এর তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে এটি ওপরের দিকে উঠতে থাকে। এবং সিলিন্ডারের ওপর থেকে একটা স্পার্ক হয় এবং পেট্রোলের আগুন লেগে যায়। এর ফলে ইঞ্জিনের মধ্যে একটা ব্লাস্ট হয়। এই ব্লাস্টের সাথে সাথে পিস্টনটি সজোড়ে আবার নীচের দিকে নেমে যায়। এটি হলো 3rd স্ট্রোক বা power stroke বা combustion stroke বলা হয়। এরপর পিস্টনটি আবার ওপরে উঠে আসে। এরপর সিলিন্ডারে আগুন লাগার ফলে যে ধোঁয়া তৈরি হয় সেটি পিস্টনের ওপরে ওঠার সাথে সাথেই একটি ভালবের সাহায্যে ইঞ্জিনের বাইরে বেরিয়ে যায়। এই ৪ নাম্বার স্ট্রোকটিকে exhaust stroke বলে। 

° বর্তমানে বেশিরভাগ বাইকে এই 4 stroke engine ব্যবহার করা হয়। 

 

ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে টাকা ইনকাম করুন

 

• যে ইঞ্জিনের মধ্যে এই সমগ্র প্রসেসটি সম্পূর্ণ করতে যে ২ টি স্ট্রোক করতে হয় সেক্ষেত্রে কি হয় ?

এই ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে fuel যখন‌ই প্রবেশ করে তখনই আগুন লেগে যায় এবং পিস্টনকে নীচের দিকে ঠেলে দেয়, এই স্ট্রোকটি হলো power stroke। এবং পিস্টন যখন ওপরে উঠে তখন আগুন লাগার ফলে উৎপন্ন ধোঁয়াকে বাইরে বের করে দেয়, এটি হলো exhaust stroke। 

 

পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিন-এর মধ্যে পার্থক্য কি

 

• পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিন-এর মধ্যে পার্থক্য কি?

পেট্রোল ইঞ্জিনে যখন fuel প্রবেশ করে তখন পেট্রোলের সাথে একটু বাতাসও প্রবেশ করে। কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে যখন প্রথম স্ট্রোক বা intake stroke হয় তখন তার মধ্যে কোনো fuel  যায়না, এক্ষেত্রে শুধু বাতাস যায়। শুধু বাতাসই এক্ষেত্রে পিস্টনটিকে ওপর থেকে নীচে নামিয়ে দেয়। এরপর আবার পিস্টনের ওপরে ওঠার সময় বাতাস সংকুচিত হয় এবং সেটি প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং এরপর ইনজেক্টর ওই উত্তপ্ত বাতাসে একটু ডিজেল স্প্রে করে দেওয়া হয় এবং সাথে সাথেই আগুন লেগে যায়। 

 

কম দামের রিচার্জে আর পাওয়া যাবে না SMS এর সুবিধা

 

প্রতিটি ইঞ্জিনে মোবিল কেন দিতে হয়

 

• প্রতিটি ইঞ্জিনে মোবিল কেন দিতে হয়?

গাড়ি যতক্ষণ চলছে তখন ইঞ্জিনের মধ্যে থাকা পিস্টনটি ক্রমাগত ওঠা-নামা করেই চলছে। এর ফলে বারবার ঘর্ষণ হচ্ছে। এই ঘর্ষনের ফলে ওই পিস্টন এবং সিলিন্ডারের নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে এই ঘর্ষণ যতটা সম্ভব কম করার জন্য মোবিল ব্যবহার করা হয়। কারণ মোবিল একটি লুব্রিকেন্ট, যা ঘর্ষণকে কম করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই মোবিলকে  নির্দিষ্ট সময় অন্তর চেঞ্জ করতে হয়, তাছাড়া ইঞ্জিনের নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

 

 TRP কি? খায় না মাথায় দেয়? এটার হিসাব কিকরে হয়?

 

ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা CC কি

 

• ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা CC কি?

CC মানে হলো cubic centimeter বা ঘনসেমি। পিস্টন সিলিন্ডারের মধ্যে সর্বোচ্চ যতটা ওপরে উঠতে পারবে এবং সর্বোচ্চ যতটা নীচে নামতে পারবে সেই জায়গাটির আয়তন হলো ওই গাড়ির CC। কোনো গাড়ি যদি 1cylinder, 100 CC এর হয় তবে ওই গাড়িতে একটি সিলিন্ডার থাকবে এবং সিলিন্ডারের মধ্যে থাকা পিস্টনটি ১০০ CC ওঠা-নামা করতে পারবে।কোনো গাড়ি যদি 2 cylinder, 100 CC এর হয় তবে ওই গাড়িতে দুটি সিলিন্ডার থাকবে এবং সিলিন্ডারের মধ্যে থাকা পিস্টনটি 50 CC ওঠা-নামা করতে পারবে। কোনো বাইক যদি 4 cylinder, 1000 CC হয় তবে ওই বাইকে চারটি সিলিন্ডার থাকবে এবং সিলিন্ডারের মধ্যে থাকা পিস্টনটি 250 CC ওঠা-নামা করতে পারবে।

নিজের মোবাইল দিয়ে নিজের আধারকার্ড ডাউনলোড করুন এক মিনিটে

   হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লিঙ্ক ঃ- Whatsapp

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button