কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প, সর্বোচ্চ দু কোটি টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাবেন কৃষকরা, কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন এখনই।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত নাগরিকদের দোরগোড়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী সমস্ত সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুয়ারে সরকার প্রকল্প কার্যকরী করা হয়েছিলো। চলতি বছরে আগত নভেম্বর মাসে আবারও দুয়ারে সরকারের আয়োজন করা হবে। তবে এবারে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে নাগরিকরা এতোদিন পর্যন্ত যেসমস্ত সুবিধাগুলি পেয়েছেন তার পাশাপাশি আরও একটি নতুন প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন। আর আজ আমরা এই পোস্টে নতুন প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক দুয়ারে সরকারে কোন নতুন প্রকল্পটির সুবিধা পেতে চলেছেন সমস্ত পশ্চিমবঙ্গবাসী ?
আগত নভেম্বর মাসে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা যে নতুন প্রকল্পটির সুবিধা পেতে চলেছেন তা হলো এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড।
কারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদনের যোগ্য ?
নবীন কৃষক, উদ্যোগপতি, কৃষি উদ্যোগপতি, কৃষি সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী সহ কৃষি উৎপাদক সংস্থার সদস্যরা এই প্রকল্পের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড প্রকল্পে কি কি সুবিধা পেতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা?
১. এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড প্রকল্পে কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করলে কৃষকরা যেকোনো ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তবে শুধু ঋণের ক্ষেত্রে সুবিধা আছে এমনটা নয় ব্যাংকের নির্ধারিত সুদের উপর ৩ শতাংশ ছাড় পাবেন কৃষকরা।
২. সমবায় সমিতিগুলি ঋণের উপর ৩ শতাংশ অনুদান পাবে, এমনকী কৃষকদের কার্যকরী সুদের মাত্র ১ শতাংশ দিতে হবে।
৩. এমনকী ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রূপ কোল্যাটারাল সিকিউরিটি বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দিতে হবে না।
৪. তবে শুধু কৃষিকাজের জন্য নয়, কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণ মিলবে এই প্রকল্পের অধীনে। গুদামঘর, পণ্য পরীক্ষা কেন্দ্র, প্যাক হাউস, রাইস মিল সহ একাধিক কাজের জন্য অনুদান মিলবে।
৫. তবে এখানেই শেষ নয়, একজন কৃষক পৃথক পৃথক ভাবে সর্বাধিক ২৫ টি প্রকল্পের জন্য ঋণ নিতে পারবেন। এমনকী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সাহায্য এবং ভর্তুকিও এক্ষেত্রে যুক্ত করা যাবে অর্থাৎ কৃষকরা একসাথে দুটি প্রকল্পের সাহায্য পাবেন।
কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের অনুদান পাবেন?
যে যে কাজের জন্য এই প্রকল্পের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন তা হলো:-
১. গুদামঘর
২. পণ্য পরীক্ষা সংস্থা
৩. হিমঘর
৪. প্যাক হাউস
৫. বাছাই ও গ্রেডিং কেন্দ্র
৬. পরিপক্ক কক্ষ
৭. কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়ার কেন্দ্র
৮. সুরক্ষিত চাষের কাঠামো
৯. রাইস মিল
১০. ডালমিল
১১. তেলকল
১২. সটিং ও গ্রেডিং ইউনিট
এই প্রকল্পের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া:-
আগত দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও কৃষকরা অনলাইনে https://matirkatha.net পোর্টালের মাধ্যমেও এই প্রকল্পের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এর পাশাপাশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে।