Petrol Price: এক ধাক্কায় পেট্রোলের দাম বাড়লো ৪৪ টাকা, মাথায় হাত সাধারণ মানুষের
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সমগ্র বিশ্বে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। আর তা থেকে বাদ পড়েনি ভারত এবং বাংলাদেশও, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকা কিংবা পাকিস্তানের অবস্থাও মোটেই ভালো নয়। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুসারে জানা গেছে যে, দিনের পর দিন ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ। যুদ্ধের কারণে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে তাল মিলিয়ে দাম বেড়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের। আর এই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলির মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের জোগান দিতে গিয়ে জনসাধারণের পকেটে টান পড়েছে। সমস্ত দিক সামাল দিয়ে উঠতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের, তা সে ভারত হোক কিংবা বাংলাদেশ (Petrol Price)।
মুদ্রাস্ফীতির দরুণ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বিপুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের দেশে এই জ্বালানি তেলের দাম যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরগুলিতে পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে এবং ডিজেলের দাম প্রায় সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই। এবারে ভারতের সাথে সেই একই পথে হাঁটলো বাংলাদেশও। মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় ৫১.৭ শতাংশ অর্থাৎ পেট্রোলের দাম প্রায় ৪৪ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৪২ টাকা বাড়ানো হলো।
সমগ্র বিশ্বজুড়ে এই মূল্যবৃদ্ধির দরুণ যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে, বিশেষত পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে। বাংলাদেশের সরকারের রিপোর্ট অনুসারে, পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য চলতি বছরের বিগত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর তাতেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি লিটার পেট্রলের বাজারদর ৮৯ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেলের বাজারদর ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে যে১১৪ টাকা। বিগত শুক্রবার রাত থেকে এই নতুন দাম কার্যকরী করা হয়েছে। হঠাৎই এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের।
মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি আরও একটি কারণ উঠে আসছে বাংলাদেশে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এর আগে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল এবং ডিজেল ভারতে পাচার করা হয়েছে। ফলত, পাচারকারীরা যাতে ভারতে তেল পাচার না করতে পারে সেই দিকটিকে মাথায় রেখেও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকেও অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে এই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনসাধারণকে জানিয়েছেন যে, নিরুপায় হয়েই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি জনসাধারণকে এও আশ্বাস দিয়েছেন যে, পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হলেই এর আগের দামেই পাওয়া যাবে পেট্রোল এবং ডিজেল।
এইরকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের আইকনে ক্লিক করে আজই যুক্ত হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।