রাজ্যসরকারি কর্মচারী

পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া DA সুখবর দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী, এই প্রথম বকেয়া ডিএ মেটানোর আশ্বাস দিলেন।

অবশেষে বকেয়া DA নিয়ে আশার বানী শোনালো রাজ্য সরকার। কি আশ্বাস দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী?

DA তরজা চলছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। রাস্তায় বসে ধরনা, সরকারি দপ্তরে কর্মবিরতি, পেন ডাউন, বিক্ষোভ মিছিল, একে একে লাগাতার ঘোষণা করা হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকে। আর তাতে মাঝে মাঝেই ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেসের মত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) আর তার আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এই ডিএ আন্দোলনের ফলে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ DA ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে খুশি না হয়ে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আবদার জুড়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় হারে এক্ষুনি DA দিতে হবে। তা না হলে সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে কর্মবিরতিতে অংশ নিলে সেই সমস্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটবে সরকার, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এখন দুমিনিটে ডাউনলোড করুন ডিজিটাল রেশন কার্ড। রইলো বিস্তারিত পদ্ধতি

আর এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Dearness Allowance প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন। কি বললেন তিনি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের টাকা নেই, পয়সা নেই, তাও কোনো কর্মচারীর মাইনে বন্ধ হয়নি। সরকারি কর্মীরাও বন্ধু। তারা ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো।

পেনশন সিস্টেমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার সরকার শুধুমাত্র পেনশন দেয়। আর সবাই পেনশন (Pension) তুলে দিয়েছে। রাজ্যের টাকা পয়সা নেই, তাও কারো কি টাকা বন্ধ হয়েছে? একশ দিনের কাজে কেন্দ্র বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না। নিজেদের টাকায় সেই কাজ করছি। কেন্দ্র রাস্তার টাকাও দিচ্ছে না। এটা মনে রাখবেন, লোভেই সর্বনাশ হয়। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সরকারি সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চলছে। সেই সমস্ত প্রকল্পের জন্য কেউ টাকা চাইলে সেখানে দেবেন না বলেও জানান তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ কর্মচারীদের না দিয়ে হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে SLP দাখিল করে। সেই ডিএ মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত ডিএ মামলার শুনানি শুরু হয়নি। আগামী ১৫ই মার্চ সেই ডিএ মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

আর এই আবহেই একদিকে যখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে, ঠিক সেই সময় রাস্তায় নেমে আন্দোলন কর্মসূচি লাগাতার ঘোষণা করে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এদিন সেই বিষয়টি তুলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো একবার বুঝিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জন্যই রাজ্যের তরফে অনেক কিছু কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এক কথায় কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ার কারণে একদিকে যেমন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, ঠিক সেরকমভাবেই সরকারি কর্মীদের DA দেওয়ার প্রক্রিয়াও আটকে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বক্তব্য, পে কমিশনের প্রথম থেকেই ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করা হচ্ছে। সেটা মিথ্যা। HR- এর টাকা সরকার ১৫% থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ শতাংশ করেছে। সেটাকেই ডিএ বলে চালানো হচ্ছে। এটা আসলে DA নয়। HR-এর টাকা কেটে নিয়ে DA বলছে। এখন ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হলো। আমরা ৩৯ শতাংশ DA চাই।

বকেয়া ডিএ এর দাবীতে পশ্চিমবঙ্গে এবার পূর্ণ দিবস ধর্মঘট, অফিস আদালতের সাথে এবার বন্ধ দোকান বাজার।

রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য বহু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। আর তার জন্য একটা মোটা টাকা ব্যয় বরাদ্দ করতে হচ্ছে সরকারকে। আর এই প্রকল্পগুলির ফলে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সামাজিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেছেন তার নিজের বক্তব্যে।
এবার সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA মামলার শুনানিতে বিষয়টির ফয়সালা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

Related Articles

One Comment

  1. Central government also reduced some allowances in pay revision.
    18 Months DA arears during 2020-21 are not paid till today on the pretext of covid expenses.
    If DA is a fundamental right of the employees, why central government employees are deprived and Trade Unions are not showing similar agitations against Central Government.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button