DA ধর্মঘটের পর এবার ডিজিটাল স্ট্রাইকে সরকারি কর্মীরা, নতুন পন্থায় নড়েচড়ে বসলো নবান্ন।
DA -র জন্য করা এই ডিজিটাল স্ট্রাইক ঠিক কী? না জানলে জানুন।
DA -র দাবিতে আবার নতুন পথে আন্দোলনের ডাক সরকারি কর্মচারিদের। ১০ তারিখ রাজ্যজুড়ে তারা ধর্মঘট ডেকেছিল। প্রায় বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলছে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে। শহীদ মিনারের পাদদেশে বসে অনশনও চালিয়ে গেছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করে ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে তাদের।
এতেই অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে যে তাদের হকের ডিএ কে সরকার এমন ভাবে দিচ্ছে যেন তাদের দান দিচ্ছে। তাই তারা ডিজিটাল ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেছে। প্রত্যেকেই যে অফিসেই চাকরি করুক না কেন সবারই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। অফিস শেষে এই হোয়াটসঅ্যাপেই সবার বাড়তি কাজ দেওয়া হয়।
এই মুহূর্তে রাজ্যের ডিএ নিয়ে সবচেয়ে বড় আপডেট, বেরিয়ে এলো নতুন খবর।
এবছরে কেন্দ্রের কর্মচারীদের DA বাড়লে সেটি হবে প্রায় ৪২ শতাংশ। সেদিক থেকে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ বলে কিছুই নেই। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ না অন্য অনেক রাজ্যেও কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে।
এই মার্চেই সুপ্রিম কোর্টের শুনানি, এর আগে রাজ্য ভুল হলফনামা দেওয়াতে শুনানি পিছিয়ে গেছে। এবার সরকারি কর্মচারিরা ঠিক করেছে অফিসের সময়ের বাইরে তাদের হোয়্যাটসঅ্যাপ, ইমেলে যে কাজ আসে তারা করবেনা। মুখ্যমন্ত্রী এক সভায় বলেন ওদের ছুটি দেওয়া হয় বিদেশে ঘোরার জন্য। “ডিএ তিন শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আর কি চায় নন্দলালদের?”।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাকে তারা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। যদিও সরকার পক্ষের দাবি ধর্মঘটের দিন প্রায় ৯০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল। সমস্যাটা সবার না গুটিকয়েক লোকের। ডিএ মামলার শেষ দেখেই ছাড়বে তারা। রাজ্য সরকারের সাফ জবাব তারা কিন্তু এর বেশি দেবেনা।
ডিএ ধর্মঘট সফল না ব্যর্থ, পহেলা এপ্রিলের আগে কি সিদ্ধান্ত বদলাবে, ইঙ্গিত মিলল নবান্নের।