সরকারি প্রকল্প

PM Awas Yojana: কোন ক্যাটাগরির রেশন কার্ড থাকলে পাওয়া যায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর? জেনে নিন এখনই

আপনি কি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন? তবে এই খবরটি আপনার জন্য (PM Awas Yojana)। ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষকে বাসস্থান অর্থাৎ পাকা বাড়ি প্রদান করাই হলো এই যোজনাটি মূল উদ্দেশ্য। আর ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী নাগরিকদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ২০২২ এর আওতায় পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান শুরু করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র জমা করতে হয়। যার ভিত্তিতে কেন্দ্র সরকারের তরফে বিচার করা হয় কারা এই বাড়ি নির্মাণের টাকা পাবেন এবং কারা পাবেন না।

তবে এই নথি গুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো রেশন কার্ড। বিভিন্ন তথ্য অনুসারে, আবেদনকারীদের কাছে কোন ধরনের রেশন কার্ড রয়েছে তার ভিত্তিতে অনুদান প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের তরফে বিচার করা হয় যে কারা অনুদান পাবেন এবং কারা পাবেন না। আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি, কোন ধরনের রেশন কার্ডের ভিত্তিতে কারা বাড়ি নির্মাণের টাকা পেতে চলেছেন, কোন ধরনের রেশন কার্ড থাকলে নাগরিকরা বাড়ি নির্মাণের টাকা পাবেন না ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি।

টিকিট বাতিল নিয়ে নয়া নিয়ম আনলো ভারতীয় রেল, এবার টিকিট বাতিলের জন্য লাগবেনা চার্জ

বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাটিকে খানিকটা বর্ধিত করে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। ফলত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাটিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনা নামে নতুন করে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় ঘর তৈরীর টাকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের টয়লেট তৈরির টাকাও একেবারেই দেওয়া হয়ে থাকে। এই যোজনার অধীনে সাধারণ মানুষকে ঘর নির্মাণ এবং টয়লেট নির্মাণের জন্য ১,২০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতোই প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনার ক্ষেত্রেও ঘর পাবার জন্য আপনাকে অবশ্যই কতগুলি শর্ত পূরণ করতে হবে:-
১. আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের কমপক্ষে ১০ বছরের বাসিন্দা হতে হবে
২. আপনার কাঁচা বাড়ি থাকতে হবে।
৩. আবেদনকারীদের অবশ্যই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর খেটে খাওয়া মানুষ হতে হবে।
৪. আবেদনকারীর পরিবারে কেউ যদি সরকারি চাকরি করে থাকেন তবে ঘর নির্মাণের জন্য টাকা পাবেন না।

এই শর্তগুলি পূরণ করার পাশাপাশি আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র জমা করতে হবে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:-
১. আধার কার্ডের জেরক্স।
২. ভোটার কার্ডের জেরক্স।
৩. রেশন কার্ডের জেরক্স।
৪. ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স।
৫. আবেদনকারীর ছবি।

বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই সকল নথিগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আবেদনকারীর রেশন কার্ডের টাইপ। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় যিনি আবেদন করছেন তার কোন ধরনের রেশন কার্ড রয়েছে সেটি AAY নাকি SPHH নাকি PHH নাকি RKSY-I নাকি RKSY-II তার ওপর নির্ভর করবে আবেদনকারী ঘর নির্মাণ করার জন্য টাকা পাবেন কি পাবেন না।

এখন হোয়াটসঅ্যাপএ পাওয়া যাবে SBI এর সমস্ত রকম সুবিধা, জেনে নিন কিভাবে

• চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক রেশন কার্ডের ভিত্তিতে কিভাবে ঘর তৈরির টাকা বিতরণ করা হবে:-
১. AAY বা অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা:-
AAY রেশন কার্ডটি সুপার বিপিএল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত রেশন কার্ড। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে মনে করা হচ্ছে, যে সকল আবেদনকারীদের এই AAY ক্যাটাগরীর রেশন কার্ড রয়েছে তাদের সর্বপ্রথম কেন্দ্র সরকারের তরফে ঘর নির্মাণের টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ আপনারও যদি AAY ক্যাটাগরির রেশন কার্ড থেকে থাকে তবে আপনিও প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনা ২০২২ এর অধীনে খুব শীঘ্রই টাকা পেতে চলেছেন।

২. SPHH বা স্টেট প্রায়োরিটি রেশন কার্ড:-
এই SPHH ক্যাটাগরির রেশন কার্ডটিও বিপিএলের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে সকল আবেদনকারীর কাছে SPHH ক্যাটাগরির রেশন কার্ড রয়েছে তারাও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শীঘ্রই ঘর পেতে চলেছেন। এক্ষেত্রে AAY ক্যাটাগরির রেশন কার্ডের অধিকারী আবেদনকারীরা ঘর নির্মাণে টাকা পাওয়ার পর SPHH ক্যাটাগরির রেশন কার্ড যাদের রয়েছে তারা ঘর নির্মাণের টাকা পাবেন।

৩. PHH বা প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড:-
PHH ক্যাটাগরির রেশন কার্ডটি যাদের রয়েছে তারাও বিপিএলের তালিকা ভুক্ত। এই ক্যাটাগরির রেশন কার্ডের অধিকারী যে সকল ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় ঘর নির্মাণে টাকার জন্য আবেদন করেছেন তারাও ঘর নির্মাণের জন্য টাকা পেতে চলেছেন।

৪. RKSY-I বা রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা:-
রাজ্য সরকারের অধীনস্থ এই ক্যাটাগরির কার্ডটিও বিপিএলের অন্তর্ভুক্ত কার্ড। RKSY-I ক্যাটাগরির কার্ড যে সকল নাগরিকদের রয়েছে তারাও প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনার অধীনে ঘর নির্মাণে টাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিভিন্ন তথ্য অনুসারে এই কার্ড যাদের রয়েছে তাদের এই ঘর নির্মাণের টাকা পাওয়া সম্ভবনা যথেষ্ট কম।

৫. RKSY-II বা রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা:-
রাজ্য সরকারের রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনস্থ এই ক্যাটাগরির কার্ডটি APL এর শ্রেণীভুক্ত। যদিও এই ক্যাটাগরি কার্ডটি থাকলে আপনি প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনার ঘর নির্মাণের অনুদানের জন্য অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

এইরকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের আইকনে ক্লিক করে আজই যুক্ত হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button