বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুদান, কেনো তা জানুন । Your allotment from Lakshmi Bhandar prakalpa can be closed
আপনি কি রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের একজন উপভোক্তা? তবে এই খবরটি আপনার জন্য। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। অনেক উপভোক্তার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই বাতিল হয়ে যাওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডারের নামের লিস্টে (Lakshmi Bhandar) আপনার নাম নেই তো?
• আজ আমরা আলোচনা করবো অসংখ্য উপভোক্তার লক্ষ্মীর ভান্ডার কেনো বাতিল করা হলো রাজ্য সরকারের তরফে?
° লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু হওয়ার সময়েই রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্টতই জানানো হয়েছিলো, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনকারী মহিলার বয়স অবশ্যই ২৫ বছর কিংবা তার বেশি হতে হবে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কেবলমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য মহিলারা তাদের বয়সের নথি জাল করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন। ফলত যেসকল মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়ার যোগ্যই নয় তারাও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যার জেরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে। এই জন্যই যথেষ্ট করাকরি শুরু হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে।
ইতিমধ্যেই খোদ উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, ২৫ বছরের কমবয়সী বহু মহিলা বয়সের প্রমাণ নথি জাল করে আবেদন জানিয়েছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য। প্রশাসনের তরফে এই সকল নথি এবং আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে আবেদনগুলো বাতিল করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, পূর্বে কোন মহিলা এইভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী প্রশাসন।
• আরও পড়ুন:- মাধ্যমিক পাশ করলেই আপনি পাবেন ২৪,০০০ টাকা, কি করে আবেদন করবেন জেনে নিন
২১ শে মে থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলায় আয়োজন করা হয়েছিলো দুয়ারে সরকার শিবিরের। ইতিমধ্যে জেলার নয়টি ব্লকে ১৩১৬ টি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ক্যাম্পগুলিতেও প্রচুর মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। এই ১৩১৬ টি শিবিরে এমন অনেক আবেদন জমা পড়েছে যেগুলিতে বয়সের প্রমাণ নথি জাল করা হয়েছে বলেই অভিযোগ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। এইভাবে নথিপত্র জাল করে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করার পিছনে কোন চক্র কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি অনুসারে, রায়গঞ্জ এবং ইসলামপুরের বিভিন্ন ব্লকের সর্বপ্রথম এইভাবে বয়সের নথি জাল করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনের বিষয়টি ধরা পড়ে।
জেলাশাসক এর মতে, বয়সের প্রমাণপত্র জাল করে ঠিক কতজন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকের ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের প্রতিলিপি যাচাই করে তবেই অনুমোদন করা হচ্ছে। তার অনুমান, এরূপ বয়সের প্রমাণপত্র জাল যেসকল মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুদান পাচ্ছেন তাদের সংখ্যা শতাধিক কিংবা তারও বেশি হবে।
এইরকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের আইকনে ক্লিক করে আজই যুক্ত হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।